পাসপোর্ট নবায়ন এর নিয়ম কানুন

প্রবাসে পাসপোর্ট নবায়ন / রিনিউ কিভাবে করবেন? 

পাসপোর্ট বাংলাদেশ

একজন প্রবাসীর জন্য সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট গুলোর একটি হচ্ছে তার পাসপোর্ট। এটি একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভ্রমণ দলিল যেখানে একজন ব্যক্তির নাম, স্থান, জন্ম তারিখ, ছবি, স্বাক্ষর, লিঙ্গ, জাতীয়তা বা নাগরিকত্ব অন্তর্ভুক্ত থাকে।  

সাধারণত বাংলাদেশি পাসপোর্টের মেয়াদ ৫ বছর। অতি সম্প্রতি ১০ বছর মেয়াদের ই-পাসপোর্ট দেয়া শুরু হয়েছে।  
 

এই আর্টিকেলে থাকছে: 

আসুন আমরা জেনে নেই, আমিরাতে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাসপোর্ট নবায়নের নিয়ম/কানুন।  

পাসপোর্ট নবায়ন/ইস্যু করার পদ্ধতি (সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য) 

মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (MRP) নবায়নের জন্য একটি ১৭ সংখ্যার নম্বর প্রয়োজন, যা আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় (NID) নম্বর বা জন্ম নিবন্ধন পত্র (BRC) এর নম্বর হতে পারে। যেসব প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি নম্বর নেই তারা তাদের অনলাইন বার্থ রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (BRC) নম্বর ব্যবহার করতে পারেন। 

হাতে লেখা পাসপোর্ট থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (MRP) নবায়ন পদ্ধতি: 

পাসপোর্ট নবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:   

(১) ওয়েব ঠিকানা থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। 

MRP passport application form
MRP passport application form

(২) অনলাইনে এমআরপি (MRP) ফর্ম পূরণ করুন এবং বার কোড সহ একটি প্রিন্ট নিন। 

(৩) এমআরপি ফর্মের সাথে নিন্মোক্ত নথিগুলো সংযুক্ত করতে হবে: 

  • সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি ১ম পৃষ্ঠার উপরে লাগাতে হবে এবং অনুমোদিত সত্যায়নকারীর দ্বারা ছবির উপরে যথাযথভাবে সত্যায়িত করতে হবে। আবেদনকারী ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু হলে, আবেদনপত্রে পিতামাতার ছবি সংযুক্ত করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে, পিতামাতার যে কোনো একজনের ছবিও গ্রহণযোগ্য। 
  • আবেদনকারীদের জাতীয় শনাক্তকরণ (NID) কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন পত্রের (BRC) একটি অনুলিপি যেটাতে ১৭ সংখ্যার অথবা ১৩ সংখ্যার সনাক্তকরণ নাম্বার থাকে।  
  • আসল পাসপোর্টের সাথে আবেদনকারীর বিদ্যমান বাংলাদেশ পাসপোর্টের (বৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ) তথ্য/ডেটা পৃষ্ঠার কপি। 
  • প্রযোজ্য ফি এর মূল পেমেন্ট স্লিপ। 

(৪) অনলাইন এমআরপি ফর্মটি পূরণ করার পরে এবং উল্লিখিত সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা পূরণ করার পরে আবেদনকারীকে দূতাবাসের অনুমোদিত কর্মকর্তার সামনে সাক্ষাৎকারের জন্য উপস্থিত হতে হবে। 

মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (MRP) পুনরায় ইস্যু করা নিয়ম:

(১) নির্ধারিত রি-ইস্যু ফর্মটি পূরণ করুন। এই ফর্মটি দূতাবাসের ওয়েবসাইট বা ডিআইপি ওয়েবসাইট বা দূতাবাসের ফ্রন্ট ডেস্কে বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। 

(২) বিদ্যমান এমআরপি পাসপোর্টের প্রথম পাতা (যেখানে ব্যক্তিগত তথ্য থাকে) এবং সর্বশেষ/বর্তমান ভিসা পৃষ্ঠার কপি সংযুক্ত করুন। 

(৩) এমআরপি ফি জমা দেওয়ার সময় এবং তালিকাভুক্ত করার সময় বিদ্যমান আসল এমআরপি সাথে রাখুন। 

(৪) পুরানো/বিদ্যমান এমআরপি ক্রস রেফারেন্সের জন্য অপারেটরকে দেখাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা এবং তালিকাভুক্ত করার পরে এটি ফেরত দেওয়া হবে। 

(৫) ১৭-সংখ্যার জন্ম-সনদ পত্র এবং ১৭/১৩ সংখ্যার জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি অনুলিপি সংযুক্ত করুন, যা বিদ্যমান এমআরপি ইস্যু করার সময় জমা দেওয়া হয়েছিল। 

(৬) যদি কোনও আবেদনকারী বিদ্যমান এমআরপির কোনও তথ্য সংশোধন/পরিবর্তন করতে চান (যেমন নাম, পিতামাতার নাম, স্ত্রীর নাম, বৈবাহিক অবস্থা, স্থায়ী ঠিকানা, পেশা ইত্যাদি), অনুগ্রহ করে আপনার সংশোধন/পরিবর্তনের প্রমাণ হিসেবে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত করুন এবং সরকার নির্ধারিত ফর্ম(গুলি) পূরণ করুন।  

তথ্য সংশোধনের জন্য:

একজনকে ডিআইপি ফর্ম ১ এবং ডিআইপি ফর্ম ২ পূরণ করতে হবে এবং সেই ফর্মগুলি লিঙ্ক এবং দূতাবাসের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

প্রকৌশলী, চিকিৎসক, আইনজীবী, শিক্ষক, ড্রাইভার ইত্যাদি পেশা পরিবর্তনের জন্য অনুগ্রহ করে আবেদনের সাথে শিক্ষা/পেশাদার সার্টিফিকেটের একটি প্রত্যয়িত/সত্যায়িত অনুলিপি সংযুক্ত করুন। টাইপিং ভুল বা পরিবর্তন করা বাধ্যতামূলক না হলে এমআরপি-এর কোনও তথ্য পরিবর্তন না করাই ভাল। 

(৭) আপনার পূরণ করা রি-ইস্যু ফর্মের সাথে মূল এমআরপি রি-ইস্যু ফি পেমেন্ট স্লিপ সংযুক্ত করুন। 

(৮) নবায়নের আবেদন সম্পূর্ণ করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত নথিপত্র সহ পূরণ করা এমআরপি রি-ইস্যু ফর্ম নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে দূতাবাসে যেতে হবে। 

নবজাতক এবং শিশুর জন্য মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (3 বছর পর্যন্ত):

(১) ওয়েব ঠিকানা বা দূতাবাসের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন MRP আবেদন করতে হবে। 

(২) প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: 

– পূরণ করা এমআরপি আবেদনপত্রের অনুলিপি (বার-কোড সহ ৪ পৃষ্ঠা) অনুমোদিত সত্যায়নকারী দ্বারা যথাযথভাবে সত্যায়িত বা দূতাবাসের অনুমোদিত কর্মকর্তা দ্বারা স্বাক্ষরিত হতে হবে।  
 
ফর্মের ৪ নম্বর পৃষ্ঠায় সত্যায়নকারীর ঠিকানা এবং সীল প্রদান করতে হবে। 

– সন্তানের জন্ম নিবন্ধন পত্র (যেটাতে ১৭-সংখ্যার নম্বর রয়েছে) এবং পিতামাতার বাংলাদেশ পাসপোর্টের কপি। বার্থ রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট (BRC) বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আবেদন এবং সংগ্রহ করা যেতে পারে। 

– সন্তানের 02(দুই) কপি 3R সাইজের ছবি (নামটি পিছনে উল্লেখ করতে হবে) এবং পিতামাতার ছবি। 

– পিতামাতার বিবাহ সনদ ও নিকাহনামার সত্যায়িত কপি। বিয়ের সার্টিফিকেট এবং নিকাহনামা আইন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক সত্যায়িত হতে হবে। 

(৩) নবজাতক শিশু এবং শিশুর (৩ বছর বয়স পর্যন্ত) বায়োমেট্রিক্সের জন্য দূতাবাসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। 

পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করনীয়: এমআরপি বা কিংবা পুরাতন হাতে লেখা পাসপোর্ট 

যারা তাদের হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী পাসপোর্টের বিপরীতে নতুন এমআরপি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে ইচ্ছুক, তাদের প্রথমেই উপরে উল্লিখিত সম্পূর্ণ এমআরপি পাসপোর্ট আবেদন পদ্ধতি অনুসরণ করুন। 

আবেদন ফর্ম পূরণ করার পরে ফর্মের সাথে, নিম্নলিখিত নথিপত্র জমা দিতে হবেঃ 

  • বিস্তারিত পুলিশ রিপোর্ট। 
  • পাসপোর্ট হারানোর বিজ্ঞাপন সম্বলিত সংবাদপত্রের কপি। 
  • আগের/হারানো পাসপোর্ট এবং ভিসার কপি। 
  • বর্তমান স্পন্সর থেকে ইস্যু করার চিঠি। 
  • সাম্প্রতিক তোলা ছবি, ২ কপি। 
  • জন্ম সনদ বা এনআইডি বা এমিরেটস আইডির কপি। 
  • কীভাবে পাসপোর্ট হারিয়েছেন তা বর্ণনা করে হাতে লিখিত আবেদন। 
  • ৪ পৃষ্ঠার অনলাইন এমআরপি পাসপোর্টের আবেদনপত্র। 

আবেদন পত্র জমা দেওয়ার নিয়ম/প্রক্রিয়া এবং ডেলিভারির জন্য এমআরপি (MRP) তৈরি করা: 

আবেদনকারীর বায়োমেট্রিক তথ্য জমা নেওয়ার জন্য MRP স্টেশনে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হতে হবে। এমআরপি রুমে প্রবেশের জন্য আবেদনকারীদের টোকেন সংগ্রহ করতে হবে। আবেদনকারীর আঙুলের ছাপ, ইলেকট্রনিক প্যাডে স্বাক্ষর এবং ছবি দূতাবাসের বায়োমেট্রিক-এনরোলমেন্ট বুথে নেওয়া হবে।তারপর অভ্যন্তরীণ সিস্টেমের মাধ্যমে ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগে আবেদন জমা দেওয়া হবে। 

আবেদনকারীর অর্থপ্রদান, পূর্বে দেয়া তথ্য, বায়োমেট্রিক তথ্য যাচাইয়ের পর প্রিন্ট করার জন্য ডিআইপি, ঢাকায় পাঠানো হয়। সবকিছু যাচাই করার পর মুদ্রিত এমআরপি পাসপোর্ট দূতাবাসে পাঠানো হয়। 

দূতাবাস এমআরপি পাসপোর্ট পাওয়ার পরে, সিস্টেমে নথিভুক্ত করা হয়। এরপর স্ট্যাম্প, স্বাক্ষর, ট্যাগ, এবং নাম্বার অনুযায়ী সাজানো হয় এবং বিতরণের জন্য প্রস্তুত করা হয়। পাসপোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট এবং দূতাবাস আবেদনকারীকে সঠিক সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট ডেলিভারি দিতে চেষ্টা করে। 

পাসপোর্ট ডেলিভারির সময় :

দূতাবাস থেকে সাধারণ MRP বিতরণের জন্য ৩০ থেকে ৪০ কার্যদিবস লাগতে পারে। আবেদনকারীদের ডেলিভারি স্লিপে উল্লেখিত তারিখে তাদের এমআরপি সংগ্রহ করতে দূতাবাসে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রয়োজনে আবেদনকারীরা DIP ওয়েবসাইট থেকে বা ই-মেইল (mrp.delivery.ad@gmail.com) পাঠিয়ে বা মোবাইলের মাধ্যমে (+৯৭১ ৫৬ ৬১১ ৭২১৫) কল করে তাদের এমআরপি আবেদনের অবস্থা জানতে পারেন। 

যে সমস্ত আবেদনকারী প্রদত্ত তারিখে তাদের MRP-এর ডেলিভারি নিতে আসবেন তাদের ডেলিভারি স্লিপগুলি সকাল ৮.00 টা থেকে ১১.00 টার মধ্যে জমা দিবেন।

ডেলিভারি প্রদানকারী কর্মকর্তা প্রতি ঘন্টায় ডেলিভারি স্লিপ সংগ্রহ করবেন এবং সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের এমআরপি পাসপোর্ট প্রদান করবেন। আবেদনকারীকে আসল ডেলিভারি স্লিপ এবং আবেদনকারীর আগের পাসপোর্ট সহ দূতাবাসে ব্যক্তিগতভাবে আসতে হবে এবং ডেলিভারি স্লিপে স্বাক্ষর করার পরে নতুন এমআরপি গ্রহণ করতে হবে। পুরনো পাসপোর্টের সঙ্গে নতুন এমআরপি পাসপোর্ট হস্তান্তর করা হবে। 

ডেলিভারি টিমের কাছ থেকে এমআরপি সংগ্রহ করার আগে কোম্পানির প্রতিনিধিকে তাদের কোম্পানির আইডি, এমিরেটস আইডি দেখাতে হবে। কোম্পানির পাসপোর্ট প্রতিদিন দুপুর ২.০০ টার পরে বিতরণ করা হয় এবং তারা আগের দিন তাদের ডেলিভারি স্লিপ জমা দিতে পারবেন। কোম্পানির প্রতিনিধিকে অবশ্যই আসল ডেলিভারি স্লিপে প্রত্যেক আবেদনকারীর স্বাক্ষর নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। 

MRP-এর ডেলিভারি:  

  • সকাল ৮.০০ টা থেকে ১১.০০ টা পর্যন্ত ডেলিভারি স্লিপ জমা দেয়া যাবে।  
  • সকাল ৯.১৫ টা থেকে দুপুর ১২.০০ টা পর্যন্ত পাসপোর্ট ডেলিভারি দেয়া হয়।  

প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার পর কোম্পানির পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়।

এমআরপি ফি / খরচ এবং পেমেন্টের পদ্ধতি: 

সাধারণ শ্রমিক এবং ছাত্রদের জন্য MRP ফি হল ১২৫ দিরহাম। এমআরপি ফি আবেদনকারীর ভিসার শ্রেণী/টাইপ এবং বৈধ ছাত্র আইডির উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। 

পরিবারের সদস্যদের জন্য (সদ্যজাত শিশু এবং গৃহিণী সহ বেকার পরিবারের সদস্য) এবং পেশাদারদের এমআরপি ফি হল ৪০৫ দিরহাম। এটি তাদের ভিসার শ্রেণী/টাইপ এর উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। 

পাসপোর্ট ফি বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্টারে আবুধাবি/দুবাই, আল আইন এবং মদিনা জায়েদের ইউএই এক্সচেঞ্জের যেকোনো শাখায় জমা করা যেতে পারে। বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্টারে আবেদনকারী সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এমআরপি ফি জমা দিতে পারবেন। 

দূতাবাসের কাজের সময়সূচী:

সকাল ৯.০০ টা থেকে ১০.০০ টা পর্যন্ত টোকেন দেওয়া হয়।

দূতাবাস কাউন্টারে এমআরপি ফি জমা: সকাল ১০.০০ টা থেকে ১১.০০ টা পর্যন্ত। 
তালিকাভুক্তির আবেদন এবং বায়োমেট্রিক: সকাল ৮.৩০ টা থেকে দুপুর ১.০০ টা পর্যন্ত। 

সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টোকেন দেওয়া হবে। 

আবুধাবির আশেপাশের UAE এক্সচেঞ্জ আউটলেটগুলিতে এমআরপি ফি জমা দেওয়া আবেদনকারীকে তালিকাভুক্তি এবং বায়োমেট্রিকের জন্য জমার রসিদে দেওয়া তারিখ এবং সময় অনুযায়ী যেতে হবে। 

আবুধাবী দূতাবাস ঠিকানাঃ 
রাষ্ট্রদূত: H.E. Mohammed Abu Zafar  

ওয়েবসাইট : https://abudhabi.mofa.gov.bd/en 

আবুধাবীঃ Villa No. 46,48, Sector. 19, Zone. W31, Al Jawwalah St Al Saadah Area – Abu Dhabi 

ফোন: +971 -2-4465100

ফ্যাক্স: +971 -2-4464733
E-mail: mission.abudhabi@mofa.gov.bd 

WhatsApp No: 

  • পাসপোর্ট এবং ভিসা অনুসন্ধান:+971-566117215 
  • শ্রমিক কল্যাণ উইং: +971-503614760 

দুবাই কনস্যুলেট ঠিকানা:

কনসাল জেনারেল: B. M. Jamal Hossain 

ওয়েবসাইট: https://dubai.mofa.gov.bd/ 

ফোন: +971-4-2388199, +971-4-2651116 

ফ্যাক্স: +971-4-2388011 

Email: mission.dubai@mofa.gov.bd, commercialcounsellordubai@gmail.com, labourwingdubai@gmail.com,  mrpmrvdubai@gmail.com

দুবাই কনস্যুলেটঃ Villa No#36 – 145 3rd St , 123/3 Street, Abu Hail Road, Al Wuheida, Deira, Dubai 

WhatsApp No:

  • পাসপোর্ট এবং ভিসা অনুসন্ধান: +971-567956079 
  • শ্রমিক কল্যাণ উইং: +971-568471066 

সংযুক্তিঃ  

সাধারণ প্রশ্নত্তোরঃ 

১) পুরাতন পাসপোর্টের মেয়াদ বাকি থাকলে মেয়াদ কি রিনিউ করা নতুন পাসপোর্টের মেয়াদের সাথে যুক্ত হবে? 

উত্তরঃ পুরাতন পাসপোর্টের মেয়াদ নতুন পাসপোর্টের মেয়াদের সাথে যুক্ত হবে না। আপনার নতুন পাসপোর্টের মেয়াদ একদম শুরু থেকেই ৫ বছর অথবা ১০ বছর হিসাব করা হবে। 

২) পাসপোর্ট রিনিউ করার সময় স্থায়ী ঠিকানা কি পরিবর্তন করা যাবে? 

উত্তরঃ পাসপোর্ট রিনিউ করার সময় স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করা যায় না। শুধুমাত্র বর্তমান ঠিকানা চাইলে প্রয়োজনীয় প্রমাণ দেখিয়ে পরিবর্তন করা যায়। 

৩) ছোট বাচ্চাদের পাসপোর্ট নেওয়ার জন্যও কি বাচ্চাদেরকেই সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে? 

উত্তরঃ  ১১ বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের পাসপোর্ট চাইলে তার পিতামাতা বা বৈধ অভিভাবক সংগ্রহ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে পিতামাতা বা অভিভাবককে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সংগ্রহের রশিদ ও পুরাতন পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে।  

৪) কেউ যদি অসুস্থ থাকে এবং পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে যেতে না পারে, তার করণীয় কি? 

উত্তরঃ কেউ পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে উপস্থিত হতে না পারলে তাকে একটি পাওয়ার-অফ-এটর্নী আবেদন পত্র লিখতে হবে। এরপর অন্য কোন ব্যক্তি ঐ চিঠি, পুরাতন পাসপোর্ট, আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র, এবং পাসপোর্ট সংগ্রহের রশিদ প্রদর্শন করে নতুন পাসপোর্টটি সংগ্রহ করতে পারবে। 

৫) দূতাবাস থেকে কি ২ দিনের অতি জরুরি ই-পাসপোর্ট নেওয়া যাবে? 

উত্তরঃ অতি দ্রুত ২ দিনে পাসপোর্ট পাওয়ার সুবিধাটি শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরীণ নাগরিকদের জন্য। দূতাবাস থেকে এই সুবিধা পাওয়া যাবে না। 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *