আজকের দিনে মোবাইল ফোন আমাদের নিত্যদিনের অতি প্রয়োজনীয় একটি ডিভাইস। এটি দিয়ে যে মানুষ কেবল কথা ই বলে তা-ই নয়। আরও অনেক অনেক কাজ করা যায়। যেমন: কথা বলা, ইন্টারনেট চালানো, ছবি তোলা, নগদ লেনদেন এর হিসাব করা, ঘড়ি দেখা, বিভিন্ন এপস ডাউনলোড করা ইত্যাদি। যার কারণে এই ডিভাইস এর ব্যবহার দিন কে দিন বেড়েই চলেছে।
আসুন জেনে নেই, কি করে মোবাইল ফোন এর যত্ন নিবেন:
• যে কোন অ্যাপ ডাউনলোড করতে গেলে অনুমোদিত প্লে-ষ্টোর/এপ্লিকেশন মার্কেট ব্যবহার করা নিরাপদ।
• অযথা বা অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ইন্সটল করা ঠিক নয়। এতে আপনার মোবাইলের স্টোরেজের জায়গা অযথা খরচ হয় এবং অদরকারী প্রসেস গুলো আপনার মোবাইলকে স্লো করে দেয়।
• মোবাইল এর ডিসপ্লেতে যাতে কোনও প্রকার দাগ না পড়ে এজন্য স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করা যেতে পারে।
• চার্জ হওয়া কালীন মোবাইল ফোন ব্যবহার করা অনুচিত।
• মোবাইল এর চার্জ ২০% এর নিচে চলে গেলে পাওয়ার সেভিং মোড অন করে দিতে পারেন। এতে পরবর্তী চার্জের আগে, জরুরী প্রয়োজনে আপনি কিছুটা বেশি সময় মোবাইল কে অন রাখতে পারবেন।
• মোবাইল যাতে পানির সংস্পর্শ এ না আসে যে দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখবেন অনেক স্মার্টফোন ওয়াটার রেসিস্টেন্ট কিন্তু ওয়াটার প্রুফ না (উদাহরণ: iPhone)
• অতি গরম বা অতি ঠাণ্ডা বস্তু থেকে মোবাইল কে দূরে রাখতে হবে।
• মোবাইল এক বারে পুরো চার্জ হবার পরে তা আন-প্লাগ করা উচিত। এতে মোবাইল টেকসই হয়।
• ভাইরাস থেকে মোবাইল কে দূরে রাখার জন্য এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কিছু কিছু এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম মোবাইলকে স্লো করে দেয়।
• যখন ঝড় বৃষ্টি বা বজ্রপাত হয়, তখন মোবাইল সুইচ থেকে আন-প্লাগ করে রাখা উচিত। এতে যে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
• মোবাইলের অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যবহার এড়াতে পাসওয়ার্ড / ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে লক করে রাখুন।
• পাবলিক wifi ব্যবহারের আগে সচেতন হন। অযথা ডাটা হারানো/কিংবা হ্যাকিং এর ঝুঁকি এড়াতে বিশেষ ক্ষেত্রে ভিপিএন ব্যবহার করা যেতে পারে।